Tuesday 24 March 2009

hmmmmmmmmmm

কি আর বলবো??? এটা বললে কেমন হয়?


প্রথমেই চলুন জানা যাক লজিকাল ফ্যালাইসি কি এবং কিভাবে এটা কাজ করে। এটা আমাদের জানা দরকার এই জন্যে যে লজিকাল ফ্যালাইসি সম্পর্কে আমরা বোধহয় এতটা সচেতন না, বাংলাদেশে থাকার সময় আমি দেখেছি কিভাবে টিভিতে, রাজনৈতিক সমাবেশে এমনকি পার্লামেন্টে ফ্যালাইসি ব্যবহৃত হয়। আমি বিগত দুই দিনে এই ব্লগ যার সম্পর্কে আমি উচ্চাশা পোষণ করতাম এটা হয়তো বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোকিত ব্লগ, এখানে অন্তত ডজনখানেক অ্যাড হমিনেম, অ্যাপিল টু রিডিকিউল, অ্যাপিল টু পার্সোনাল ইনক্রেজ্যুয়লিটি দেখেছি। আমি সাধারণত তাদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করিনা কেননা আমরা রিজনেইবলি এই কনসেনসাসে পৌছতে পারি যে তাদের মানসিক বিকাশ কোন ইন্টেলেকচুয়্যল বিতর্কের জন্য ফিট না। সভ্য, শিক্ষিত ও অ্যাকাডেমিক কোন বিতর্কে লজিকাল ফ্যালাইসির ব্যবহার ইউরোপে সংবাদপত্রে আসার মত একটা ঘটনা হয়, অবশ্যই নেতিবাচক সেন্সে কারণ এটা প্রজেক্ট করে একজন ইন্ডিভিজ্যুয়লের সভ্যতাবিরাগ এবং অ্যাকাডেমিক কোড অফ কন্ডাক্ট সম্পর্কে অজ্ঞানতা। এখন আমরা একটি বিশেষ ফ্যালাইসি সম্পর্কে জানব যেটা ব্যবহার করে আপনি আপনার পোস্ট শুরু করেছেন। এটাকে বলে, অ্যাপিল টু অথারিটি (বিস্তারিত জানার জন্য উইকিপিডিয়া দেখুন। অন্যান্য লজিকাল ফেলাইসিগুলোও দেখুন (যেমন অ্যাপিল টু হিউমার, এর উদাহারণ হতে পারে এমন (তোমার যুক্তি হাস্যকর হোঃ হোঃ হোঃ); অ্যাড হমিনেম (তুমি কিচ্ছু জাননা, জানবা ক্যামনে তোমার আব্বা ছিল জেল খাটা আসামী); অ্যাপিল টু মেইজরিটি (সবাই জানি তিমি একটা মাছ তোমার একার কথায় তো আর এইটা ম্যামাল হইয়া যাবে না), ব্ল্যাকমেইল (আরেকটা কথা বললে কিন্তু তোমার বান্ধবীরে বইলা দিব কি করছ তুমি ঐদিন ক্লাবে)। অ্যাপিল টু অথারিটি কাজ করে এভাবে যে, আপনি আপনার মত সমর্থনের জন্য যুক্তির বদলে বা যুক্তির সহযোগে ব্যবহার করবেন নিজের বা অন্য একজনের অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা। যেমন, "আমি একজন নোবেল লরেট বা আমি একজন অক্সফোর্ড ফেলো, আমি বলছি গরু ঘাস খায়, তাই তোমাকে এটা মানতে হবে যে গরু ঘাস খায়।" অথবা এমন যে "আইনস্টাইন বলেছেন গরু ঘাস খায়, তাই তোমাকে এটা মানতে হবে।" আমরা হয়তো শুনে থাকব একটা নিতীবাক্য যে "an arguement must stand on its own merit". লজিক্যাল ফেলাইসি একটি শিক্ষিত বিতর্কে বর্জনীয় এই কারণে যে, এটা আরগুমেন্টকে তার মেরিট ছাড়া অন্য একটা অপ্রাসঙ্গিক কোন কিছুর পায়ে দাড় করায়।
আমার বলতে আসলেই কষ্ট হচ্ছে আপনি আমার একজন সিনিয়র ভাই বলে। কিন্তু না বলে আমি থাকতে পারছি না আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম আপনার রচনাশৈলী দেখে। আপনার লেখাই আপনি শুরু করলেন নিজের অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেইশন দিয়ে? আপনার বলার ভঙ্গি স্পষ্টতই ছিলো এরকম যে, " কি আর বলবো ভাই এই দেখ আমার ডিগ্রীর বহর, আর এইবার শুন আমি কি বলি...." । আপনার কোয়ালিফিকেইশন যদি লোকজনকে আপনার জানান দেয়ার দরকার এতই হত সেটা কি আপনি পারতেন আরো একটু গ্রহনযোগ্য, আরও একটু সভ্য কোন উপায়ে? অন্য আরেকটা স্বতন্ত্র পোস্টে যেখানে আপনি নিউট্রাল, যেখানে আপনি কোন আর্গুমেন্ট বা ডিবেইটে নাই; বা আরেকটু ছল করে যেমন, "আমার পোস্টগ্রাড থেসিস করার সময় cern এর পাশে এক মাঠে একটা মজাদার ফুটবল ম্যাচ হয়েছিল" অথবা "আমার ডক্টরেট থেসিস জমা দিতে যাব দেখি কেইম্রিজ বাজারে হুইল চেয়ার নিয়া স্টিভেন হকিং"- তাহলেই তো জিনিষটা এতটা দৃষ্টিকটু হত না, অভিযোগ করার মত কিছু হত না। বিজ্ঞানের ছাত্র আপনি, আপনি কোন জার্নালে কোন পেইপারে দেখেছেন লেখকের নামের পাশে নিজের ডিগ্রী বা তার ইউনিভার্সিটির নাম? পিয়ার রিভিউ এসেন্সিয়লি একটি প্রক্রিয়া যেখানে লেখক এবং রিভিউয়ার একজন আরেকজনের ডিগ্রীতো দুরে থাক তাঁরা কে কোন দেশে আছেন এটাই জানেন না। আপনার কি মনে হয় কেন এটা করা হয়? এটা করা হয় এ কারণে যে একজনের নামডাক বা একজনের ডিগ্রী তাঁর আর্গুমেন্টকে যেন কোন ছাড় না দিতে পারে। সর্বশেষে আমার আরও একটি প্রশ্ন, আপনি আমার উপর নিজের ডিগ্রী ঝাড়লেন???? কেন? আপনি কি আমার নামের পাশে আমার ইয়ার দেখেন নাই? দেখেন নাই যে আমি আপনার ৮ বছরের জুনিয়র? এইটাইতো স্বাভাবিক আপনি যখন ক্লাস এইটে পড়বেন আমি তখন থাকব ক্লাস ওয়ান এ? মানে কোয়ালিফিকেইশনের ফাইট আপনি যে আমার সাথে দিলেন এইটা আপনার কি মানসিক মহত্ব প্রকাশ করলো বলে আপনি মনে করেন? আমি বড়ই কৌতুহলী আপনার এই সাইকোলজি জানার জন্য কারণ আমি এটা ফিগার আউট করতে পারছি না। আপনার ফাইট হলে সেটা হতে পারে আপনার ক্লাসমেইটের সাথে, তারপরও সেটা তখন আর কোয়ালিফিকেইশনের ফাইট হবে না, সেটা হবে এসেন্সিয়লি গ্রেইডের ফাইট যেটা কিনা একটা রেন্ডম ভ্যারিয়েইবল যা নির্ভরশীল কে কত সময় দিতে পারল তার উপর। তারপরেও আপনি যদি গার্বেইজ বলেন আপনার ডিগ্রী সেটা প্রেশাস বানাবে না।
অ্যা...আব্দুস সালাম একজন নাইভ ধার্মিক, তাই না? আবারও সেই অ্যাপিল টু অথারিটি। আব্দুস সালাম= ধার্মিক, আব্দুস সালাম= বিজ্ঞানী, অতএব বিজ্ঞানী= ধার্মিক না? লেটস প্লেই বোল দেন, স্যাল উই?-
প্যাট্রিক ব্ল্যাকেট OM, CH, FSR, ব্রিটিশ এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিসিস্ট, কাজ করেছেন ক্লাউড চেইম্বরস্, কসমিক রেই ও প্যালিওম্যাগনেটিজমের উপর। নোবেল পান ১৯৪৮ এ। "The grandson of a vicar on his father’s side, Blackett respected religious observances that were established social customs, but described himself as agnostic or atheist." Mary Jo Nye: "Blackett, Patrick Maynard Stuart." Complete Dictionary of Scientific Biography, Vol. 19 p. 293. Detroit: Charles Scribner's Sons, 2008. -wikipedia
হার্মান বন্ডি KCB, FSR , ব্রিটিশ অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট কাজ করেছেন স্টেডি স্টেইট ইউনিভার্স ও জেনেরেল রিলেইটিভিটির উপর। তিনি ছিলেন ইউরোপিয়ান স্পেইস এজেন্সির ডিরেক্টর জেনেরেল (১৯৬৭- ১৯৭১), কেইম্ব্রিজের চার্চিল কলেজের মাস্টার (১৯৮৩- ১৯৯০)। As he was a lifelong humanist, he never "felt the need for religion". He was president of the British Humanist Association from 1982 to 1999, and president of the Rationalist Press Association from 1982. -wikipedia.
সুব্রামনিয়ম চন্দ্রশেখর ব্রিটিশ (ইন্ডিয়ান) অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট, পড়েছেন কেইম্ব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে, যদিও পরে অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন করেন। নোবেল পান ১৯৮৩ তে। Chandra কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তার নামে। চন্দ্রশেখর লিমিট ( ম্যাস কনসেনট্রেইশন যার উপরে গেলে একটি স্টারের কোর কলাপ্স করে) তাঁর আবিস্কার। Vishveshwara, S. (25 April 2000). "Leaves from an unwritten diar: S. Chandrasekhar, Reminiscences and Reflections" (.PDF). Current Science 78 (8): 1025–1033. http://www.ias.ac.in/currsci/apr252000/generalia.pdf. -wikipedia.
উইলিয়াম ক্লিফোর্ড F.S.R ব্রিটিশ ম্যাথমেটিকাল ফিজিসিস্ট, জেনেরেল রিলেইটিভিটিরও প্রায় ১০০ বছর আগে তিনিই প্রথম হাইপোথেসাইজ করেন গ্রাভিটেইশন মূলত স্পেইস-টাইমের বক্রতাপ্রসূত জিওমেট্রি, ক্লিফোর্ড থিওরেম, ক্লিফোর্ড অ্যালজেব্রা, ক্লেইন ক্লিফোর্ড স্পেইস তাঁর নামে। তাঁর কিছু উক্তি, "There is no scientific discoverer, no poet, no painter, no musician, who will not tell you that he found ready made his discovery or poem or picture - that it came to him from outside, and that he did not consciously create it from within." (From a lecture to the Royal Institution titled "Some of the conditions of mental development") এবং, "It is wrong always, everywhere, and for anyone, to believe anything upon insufficient evidence." The Ethics of Belief (1879) "I was not, and was conceived. I loved and did a little work. I am not and grieve not." - epitaph. -wikipedia
ফ্র্যাঙ্ক ক্লোওজ OBE ব্রিটিশ পার্টিক্যাল ফিজিসিস্ট, অক্সফোর্ডে ও স্ট্যানফোর্ডে পড়িয়েছেন কাজ করেছেন সার্ণ, ডার্সবুরি, স্ট্যানফোর্ড লিনিয়র এক্সেলেটরে। তিনি ছিলেন ঈশ্বর এবং অন্যান্য সবধরণের জাদুটোনায় অবিশ্বাসী, রয়্যাল ইনস্টিটিউট অফ ক্রিস্টমাসে তাঁর লেকচার আছে। -wikipedia
ফ্রান্সিস ক্রিক, ব্রিটিশ ফিজিসিস্ট, কেমিস্ট ও নিউরোলজিস্ট। ডিএনএ স্ট্রাকচার আবিষ্কার করে বায়োলজির ইতিহাসে আমর হয়ে আছেন। নোবেল পান ১৯৬৩ তে। Crick, Francis (1990). What Mad Pursuit: a Personal View of Scientific Discovery. Basic Books reprint edition. pp. 145. ISBN 0-465-09138-5. — Crick described himself as agnostic, with a "strong inclination towards atheism". -wikipedia.
পল ডিরাক, ব্রিটিশ থিওরেটিকাল ফিজিসিস্ট। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একজন স্হপতি, ব্রা-কেট অ্যালজেব্রার স্হপতি, ফার্মি-ডিরাক স্ট্যাটিস্টিক্সের স্হপতি । নোবেল পান ১৯৩৩ এ। Werner Heisenberg. Physics and Beyond: Encounters and Conversations. New York: Harper & Row. ISBN 0061316229. -wikipedia.
পিটার হিগস্, হিগস্ বোজনের অস্তিত্ব পার্টিকল ফিজিক্সের অন্যতম সর্বালোচিত হিগস বোজনের অস্তিত্ব হাইপোথেসাইজ করেন। Interview: the man behind the 'God particle'", New Scientist 13 Sept., 2008, pp. 44-5 - wikipedia
স্যার জন লেসলি, ব্রিটিশ ফিজিসিস্ট, উল্লেখযোগ্য কাজ তাপ নিয়ে, প্রথম কৃত্রিম বরফ তৈরী করেন। not, however, without violent, though unsuccessful, opposition on the part of a narrow-minded clerical party who accused him of heresy in something he had said as to the unsophisticated notions of mankind about the relation of cause and effect. -wikipedia
আমি দুঃখিত আমাকে এত জঘন্য একটি লজিকাল ফ্যালাইসি প্রয়োগ করতে হল। আমি দাবী করছি না যে এঁরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতো না বলেই আপনাদের ঈশ্বরে অবিশ্বাস করতে হবে। ঈশ্বর যেমন কোনো ইম্পেরিকাল এভিডেন্স দ্বারা সমর্থিত না, তাই একে অবজেক্টিভলি অপ্রমান করা যাবে না, তাই একে অপ্রমানের দায়িত্ব আপনাদের সাবজেক্টিভ। নিজ দায়িত্বেই তা আপনাদের করতে হবে। নিজেদের প্রশ্ন করে দেখতে পারেন মানবসভ্যতা যা এসেন্সিয়লি টিকে থাকবে অনন্ত অসীম সময়, এর সব সিদ্ধান্ত কি নেওয়া হয়ে গেছে ব্রন্জ এইজেই? বলাই বাহুল্য আমার এই লিস্ট বানানোর পিছনে সময় এবং শ্রম উভয়ই কমানোর জন্য আমি এই লিস্টে কিছু কোয়ালিফিকেইশন বসিয়েছি। প্রথমত, বিজ্ঞানীকে উইকিপিডিয়ার list of atheists (science and technology) পেইজে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে অন্য কোন উৎস তে নয়, বিজ্ঞানীকে ফিজিসিস্ট বা কোয়ান্টাম কেমিস্ট হতে হবে, বায়োলজিস্ট, কেমিস্ট, জিওলজিস্ট, ফিজিসিয়ান হলে হবে না, এবং তৃতীয়ত সবাইকে ব্রিটিশ হতে হবে অ্যামেরিকান, জার্মান, অষ্ট্রিয়ান বা অন্য কোন জাতির হলে হবে না। আমার দুঃখ একারণেই আমার প্রিয় আইনস্টাইন, কার্ল সেগান, রিচার্ড ডকিন্স বাইরে পড়ে গেলেন। কোয়ালিফিকেইশনগুলো তুলে নিলে লিস্ট শেষ করতেই আমার একমাস লাগতো।
এখানে একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে মলিক্যুলার বায়োলজিস্ট, জেনেটিস্ট, পেইলিঅন্টলজিস্ট, জেরেন্টলজিস্ট, অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট, পার্টিকেল ফিজিসিস্টদের ঈশ্বরে অবিশ্বাসের প্রবনতা বেশী। এটা বোধহয় এই কারণে যে, এদের অরিজিন নিয়ে কাজ করতে হয়। ম্যাজিকম্যান ডান ইট বলে তাঁরা বসে থাকতে পারেন না। গড কন্সেপ্ট টা এসেন্সিয়লি "গড অফ দ্যা গ্যাপ" হিসেবে কাজ করে। আজ আমি সূর্যোদয় বুঝিনা তো গড ডিড ইট, কালকে যখন বুঝবো তখন ওয়য়েল প্লানেটরি মোশন বুঝিনা, সো গড ডিড ইট। আমরা দেখি একটি ক্রমশ রিসিইডিং গড। অরিজিন নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের কাছে বোধহয় এটা সবচেয়ে জোড়ালোভাবে প্রতীয়মান হয় যে এভাবে পিছাতে পিছাতে আর পিছানোর জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না, দেয়ালে পিঠ ঠেঁকে যাচ্ছে। তাই গডকে তখন আমুল বিলুপ্তই হয়ে যেতে হয় তাদের মন থেকে, একমাএ জায়গা যেখানে গডের অস্তিত্ব এনিওয়েই সম্ভব ছিল। এটার সবচেয়ে নির্মম শিকার বোধহয় হন বায়োলজিস্টরা। According to a 1998 survey of members of the National Academy of Sciences (NAS), nearly 95 percent of NAS biologists are atheists or agnostics. (সুত্র http://article.nationalreview.com/?q=NWEzZGRiMzE0ZDRhNzE2ZGJjMjVjYTZhMzJiZjJmMzI=)। বায়োলজিস্টরা বোধহয় ধর্মগ্রন্থ রম্য রচনা হিসেবে পড়ে থাকেন।
"আর দুই একটা আপকোয়ার্ক, ডাউনকোয়ার্কের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞানমনস্কতা প্রমান করা " না? thats how our beloved fishy creationist friend returns. ওয়েল আপনি সম্ভবত আমার আগের পোস্ট পড়েন নি। এবং আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত আমি অন্তত আরও ৩/৪ টি পোস্ট লিখব। বলাই বাহুল্য এবার আপনি অ্যাড হোমিনেম করছেন। নিজের ডিগ্রীর আর নামজাদা ইউরোপীয় ইউনিভার্সিটির গন্ধে আকাশ বাতাস উদাস করে নিজের এলেমের পরিচয় দিয়েই আপনি খুশী থাকেননি, সেই সাথে নিজের ইউরোপীয়ানিজমের পরিচয়ও দিয়ে দিলেন? এই কথা আপনি বলতে পারতেন আমার পোস্টে যদি আসলেই শুধু আপ আর ডাউন কোয়ার্কের কথা ছাড়া আর কিছু না থাকত, যেটা এসেন্সিয়লি সত্য নয়। আমরা হাইপথেসাইজ করতে পারি হয় আপনি আমার পোস্ট পড়েন নি, অথবা মিথ্যা বলছেন। তবে, আপনি আমাকে পরাজিত করেছেন অন্য দিক থেকে। আমি আগে দাবী করতাম সংকীর্ণ জাতীয়তাবোধ, গোত্রবোধ থেকে মুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিকতাবোধ, গনতন্ত্রবোধ জাগ্রতকরণের মাধ্যমে ইউরোপীয় মূল্যবোধ ব্যাবস্থা গ্রো করার মাধ্যমেই আমাদের দেশে জন্ম হয়েছে রবিন্দ্রনাথ, মধুসুদন, বিদ্যাসাগর, বোস, রামমোহন, চন্দ্রশেখর, ইউনুস, জাফর ইকবাল, অমিয় চক্রবর্তী, গান্ধী প্রমুখের। এখন আমার এই দাবী এখন বিপক্ষ এক ধাক্কায় ধুলিস্মাত করে দিতে পারবে আপনার উদাহারণ দিয়ে। আমি হয়তো মিন মিন করে বলবো ওয়েল ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়াই ইউরোপীয় মূল্যবোধ গ্রো করে না।
সর্বশেষে আপনি আমার সেন্সরশিপ দাবী করেছেন। আপনাকে ফ্রী স্পিচের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝাতে গেলে বোধহয় এই ঘটনা শ্রেষ্ঠ কৌতুক কালেকশন বইয়ে ছাপা হবে। আপনি আবার সিসিবিকে হুমকিও দিয়েছেন তা না করা হলে আপনি এই ব্লগ ছেড়ে চলে যাবেন। আমি লজিকাল ফ্যালাইসি নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখব ভাবছি। কিছু উদাহারণ ব্যবহার করার জন্য আপনার কপিরাইট অনুমতি চাচ্ছি। গ্লাসগো এয়ারপোর্টে যে আত্নঘাতী বোমা ফুটাতে গিয়ে ধরা পড়েছিল সে ছিল একজন ভারতীয় ডক্টর ডাক্তার। আমার জানতে ইচ্ছে করে এরা কি আসলেই ইউরোপে বসবাস করতো? নাকি মনটা ভুলে দেশে ফেলে রেখে এসেছিল? আমার খুবই ইচ্ছে হচ্ছে আপনাকে বলি you are a pathetic moral vacuum. আমি সেটা করবো না, আমি এখনও আশাবাদী আপনি আপনার মত পুনঃবিবেচনা করবেন যেহেতু আপনি শিক্ষিত।
কি আর হবে আমি সেন্সর হলে? আমার কিছু সময় বাঁচবে, যদিও আমি দাবী করে যাব অল্প যা সময় আমি এখানে ছিলাম আমার সময় ভাল কেটেছে। তবে এভাবে সেন্সর করে করে যদি কখনো আপনারা সফল হন বাদ দিতে এমন কোনো ব্যক্তিকে যে হতে পারত ভবিষ্যতের মেন্ডেল, ডারউইন বা ক্রিক আপনাদের কোনো ক্ষতি হবেনা, ব্রন্জ এইজ ভ্যালিউ নিয়ে নিজের সাথে প্রতারণা করতে করতে আপনারা আরামদায়ক সময় পার করে যাবেন হয়তো ফ্যান্টাসাইজ করতে করতে বেহেস্তে ৭২ বা হুজুরদের আলোচনার ভিত্তিতে মতৈক্যে পৌছান সাপেক্ষে ৭৩ : ১ ওয়াইল্ড, পার্ভার্টেড ওর্জি , কিন্তু এক থাপ্পরে মানবসভ্যতাকে পিছিয়ে দিবেন কয়েকশো বছর, আর সেই ক্ষতি রিকভার করতে মানুষের কত সময় লাগবে বলা যায়না।
আপনি আবার ফেইথ কার্ডও খেললেন দেখা যাচ্ছে। আপনার অনুভুতি আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে কোন ট্রওমা বা ক্ষত ছাড়াই এক বুজরুকী উপায়ে। কেন? কারণ কেউ এমন কিছু বলেছে যার সাথে আপনি একমত পোষণ করেন না। সম্ভবত আপনি ভলতেয়ারের এই উক্তিটি শুনেননি "আমি দ্বিমত পোষণ করি তোমার বক্তব্যের সাথে, তবে মরতেও রাজী তোমার সেটা বলার অধিকার রক্ষার্থে। " কি হত আমার অনুভুতি যদি আঘাত প্রাপ্ত হত আপনার ফ্রী স্পিচ চর্চার দ্বারা? আপনি সাম্প্রতিক সময়ে আমি আমার পোস্টটি দেয়ার পরে কোরান থেকে বেছে, আমি জানিনা ইচ্ছাকৃতভাবে কিনা, একটি অন্যতম ডিস্টার্বিং সুরা আপ করেন। সুরাটা আপনি জানেন, অনেকেই জানে, আপনি এটা আপ করেননি লোকজনকে জানানোর জন্য যে, দেখ কি একটি সুন্দর সুরা। আপনি এটা এসেন্সিয়লি আপ করেছেন হয় নিজের কাছে নিজের হাইপথেসিস রিএনফোর্স করার জন্যে অথবা লোকজনকে যারা আপনি মনে করেছেন আমার কথা শুনে বিভ্রান্তিতে পড়ে যাবে তাদের হাতের কাছে একটি নবোন্মোক্ত দরগা হিসেবে যেখান থেকে তারা ঈমান নামক বহুগুনাবলী সম্বৃদ্ধ সাপের তেল সিন্নির বিনিময়ে কিনে নিয়ে খুশী মনে বাড়ি ফিরবে। আপনার দরগা দেখা যাচ্ছে বেশ সফল। সেটা আমার সমস্যা না আমার সমস্যা হচ্ছে আপনার সুরা এসেন্সিয়লি শুরু হয়েছে একটা বিরক্তিকর শব্দ দ্বারা। হে অবিশ্বাসীগন। মানে? যারা ইসলাম মানে না? মানেতো ব্যাপারটা আপেক্ষিক, আপনি একজন ক্রিশ্চিয়ানের কাছে অবিশ্বাসী, সেই ক্রিশ্চিয়ান আবার এক হিন্দুর কাছে অবিশ্বাসী। এখানে সমস্যাটা হচ্ছে একটা বিশ্বাস যখন আবিস্কার করে আরেকটা বিশ্বাস কে, নিজের সার্ভাইবলের জন্য সে ঐ বিশ্বাসের উপর নিজেকে সুপিরিয়র দাবী করে বসে। এখানেও সমস্যা যে ব্যাপারটা একটা ভারসাম্যে থাকতে হয়। ফলে আরেকটি বিশ্বাসকে হতে হয় ইনফেরিয়র। এখানেই শুরু হয় কম্পিটিশন, স্ট্রাগল ফর এক্সিস্টেন্স, যেখানে সিলেক্সন প্রেসার হিসেবে কাজ করে একটির আরেকটির উপর ক্ষমতা প্রদর্শন। যে পিটিয়ে সোজা করতে পারে সেই ই সিলেক্টেড হয়। এটাই প্রাকৃতিক, এটাই স্বাভাবিক। আর ফলালটা কি হয়? ইংল্যান্ডের রিচার্ড (এই শূয়োরকে লায়নহার্ট বলার কোন কারণ পাই না) তোমাদের কিছু করা হবে না আশ্বাস দিয়ে এইকর শহর সারেন্ডর করায় আর ভেতরে ঢুকে নারী শিশু নির্বিশেষে প্রতিটা মানুষকে জবাই করে, কেননা তার বোধোদয় হয় একজন অবিশ্বাসীর কাছে করা প্রতিজ্ঞা রক্ষা করা বাধ্যতামুলক নয়। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার আছে। শিক্ষা নেয়ার আছে অপর পিঠ থেকেও যখন কিনা সালাডিন সেই ক্রুসেইডারদের পরাজিত করে কিছু না করে, সন্মানের সাথে দেশে পাঠিয়ে দেয়। আমার স্যালিউট তাঁর প্রতি। আমার মাথা নত হবে তাঁর প্রতিই যে আমার মানুষসত্বাকে ভালবাসে ও শ্রদ্ধা করে। কোন ডগমাটিক ব্রন্জ এইজ ডেজার্ট ম্যাজিক ড্যাডি আর তার প্রেরিত এক পিডোফাইল, চাইল্ড মোল্যাস্টিং, পলিগ্যামিস্ট, মিসজনিস্টিক ম্যাজিক বয় গং এর প্রতি না, যারা আমার বাথরুমে, বেডরুমে উঁকি, ঝুঁকি মারে।
আমি জানি আমার এই বাক্যের সাথে অনেকে একমত হবে না, বেশীরভাগই বুঝতে না পেরেই, নিজেদের বোঝার ইচ্ছাকে একটিবার দোষারোপ না করেই তারা মতৈক্যে পৌছাবে নাহ্ অর্ণব বড় রূঢ় কথা বলে, ওকে সেন্সর করে না দিলে এই আমি চললাম। ঢেং ঢেং ঢেং ঢেং করে কাতারে কাতারে তারা মতৈক্য পৌছাতে থাকবে একজন ইমামকে সামনে রেখে বস উপাধি দিয়ে, ইদানিং এই ব্লগে মতৈক্যে পৌছানোর এই কিম্ভুত ট্রেন্ড প্রকট। সেই মতৈক্যের অবতার গনতন্ত্রের কান্ডারী পদ্মলোচনদের প্রতি আমার আহ্বান ঐক্যে পৌছানোর আগে চলুন মতটাকে প্রশ্ন করি, প্রশ্নের ধাক্কায় জর্জরিত করি, মত যদি শেষমেষ দাড়িয়ে থাকতে পারে তখনই ঐক্য প্রকাশ করি, কিন্তু ধাক্কা যেন বন্ধ না করি। দুই একটা ইংরেজী শিখেছি, নিজের বিদ্যা জাহির না করে পারছি না, এটাকে বলে স্কেপটিসিজম।
আশা করি আমার প্রতিমন্তব্য বিবেচনা করে দেখবেন।